সিতারে জুয়েলস শোরুমে আপনাকে স্বাগত I গ্রহরত্ন ধারণ করা এক বৈজ্ঞানিক রোগনিবারণ পদ্ধতি, যাকে আমরা কালার থেরাপিও (colour therapy) বলে থাকি I মাঝে মাঝে আমরা চমৎকারিক ফলপ্রাপ্তির বিজ্ঞাপন দেখে থাকি, কিন্তু আসলে গ্রহরত্ন ধারণে এমন কোনো আচমকা চমৎকারিক ফল প্রাপ্তি হয় না I পৃথিবীর আশেপাশে নানারকম গ্রহের অবস্থান এবং সূর্যের আলোর মত প্রতিটা গ্রহের ক্ষতিকর রশ্মি পৃথিবীতে আসে এবং মানুষকে প্রভাবিত করে I গ্রহরত্ন আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন গ্রহের ক্ষতিকর রশ্মিগুলোর বিরূপ প্রভাব থেকে মানুষকে নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম I গ্রহরত্ন ধারণে মানুষ ধীরে ধীরে কিন্তু স্থায়ীভাবে সমৃদ্ধশালী, ধনী এবং স্বাস্থ্যলাভ করে I গ্রহরত্ন কেবলমাত্র জ্যোতিষ আচার্যর পরামর্শ অনুযায়ী ধারণ করা উচিত, কিন্তূ কেনা উচিত অবশ্বই কোনো অভিজ্ঞ রত্ন বিক্রেতা থেকে I
কিভাবে তৈরী হয় গ্রহরত্ন ?
ঋগবেদ অনুসারে গ্রহরত্ন খনিতে অথবা পাহাড় পর্বতে অগ্নির সংমিশ্রনে উৎপত্তি হয় I পৃথিবীর অনেক গভীরে নানারকম রাসায়নিক পদার্থর মিশ্রনে বিভিন্ন রকম গ্রহরত্ন তৈরী হয় I গ্রহরত্ন তৈরী হতে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ – কার্বন, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, তামা, লোহা, ফসফরাস, বেরিয়াম, ক্যালসিয়াম জাতীয় খনিজ তত্বের মিশ্রণ হয়I সেইকারণে বিভিন্ন রকম গ্রহরত্নের রং, কঠোরতা, উৎকর্ষতা এবং উজ্বলতা আলাদা আলাদা হয়ে থাকে I
গ্রহরত্নের প্রাপ্তিস্থান :
সাধারণত গ্রহরত্ন সমুদ্র এবং পাহাড় পর্বতের এলাকায় পাওয়া যায় I বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোঘানা, ব্রাজিল, বার্মা, শ্রীলংকা, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে নানারকম গ্রহরত্ন পাওয়া যায় I
গ্রহরত্ন কি শরীরের সঙ্গে স্পর্শ করা আবশ্যিক ?
গ্রহরত্ন ধারণে শরীরের সঙ্গে স্পর্শ করা অত্যন্ত আবশ্যিক I কেবলমাত্র হীরার ক্ষেত্রে স্পর্শ করা আবশ্যিক নয় I গ্রহরত্নের লকেট তৈরী করে ধারণ করলেও এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে সেই লকেট শরীরে স্পর্শ করে I সাধারণতঃ গ্রহরত্নের আংটি বানিয়ে হাতের নির্দিষ্ট আঙুলে ধারণ করা উচিত, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে জ্যোতিষীরা লকেট তৈরী করে ধারণ করার পরামর্শও দিয়ে থাকেন I আংটিতে যত ওজনের রত্ন ধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, লকেটে তার থেকে বেশি ওজনের রত্ন ধারণ করতে হবে I কিন্তু এটা সত্যিই যে লকেটের চেয়ে আংটি বানিয়ে ধারণ করলে ভালো কাজ করে I
গ্রহরত্ন কি কেনার পর ফেরত দেওয়া যেতে পারে ?
কয়েক প্রকার গ্রহরত্ন ছাড়া সবরকম গ্রহরত্নই এক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়া যেতে পারে I সাধারণভাবে আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, গ্রহরত্ন দেখিয়া নেবেন বিক্রির একদিন পরও ফেরত হইবেনা I এখনভাবুন, যদি কেনার কয়েকদিন পরে যেকোনো কারণে ক্রেতার সেই গ্রহরত্ন অনুপযুক্ত মনে হয় অথবা জ্যোতিষীর ভুল পরামর্শে নীলার মত প্রভাবশালী গ্রহরত্ন বিরূপ প্রভাব দেখাতে শুরু করে, তাহলে ক্রেতা কি করবেন ? ওনার টাকাতো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল I সোনারুপার মত গ্রহরত্ন তো কোনো মূল্যবান ধাতু নয় যেটা অন্যখানে বিক্রি করে টাকা তুলতে পারবেন I কিছু শর্তসাপেক্ষ্যে গ্রহরত্ন ফেরত নেওয়া অত্যন্ত আবশ্যক I
কিছু বছরের ব্যবহারের পর কি গ্রহরত্নের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায় ?
এই ধারণা সঠিক নয় I যে গ্রহরত্ন তৈরী হতে লক্ষ লক্ষ বছর লেগে থাকে, সেই গ্রহরত্ন দু তিন বছরের ব্যবহারে নষ্ট হয়ে যায় এমন তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি I আমাদের মতে এই ধরনের তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই I